কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা-এর আয়োজনে ২৪/০১/২০১৭খ্রিঃ তারিখে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ে জেলা কৃষি কারিগরি সমন্বয় কমিটির (DTC) ২য় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সাখাওয়াত হোসেন। সভায় রাঙ্গামাটি জেলার কৃষি মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, কৃষি গবেষক, জন প্রতিনিধি, কৃষক, মৎস্য চাষী, খামারী সহ ২৯ জন উপস্থিত ছিলেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটির অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) ও কমিটির সদস্য-সচিব তপন কুমার পাল-এর সঞ্চালনে সভার শুরুতে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সাখাওয়াত হোসেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের চলমান কার্যক্রম ও প্রদেয় সেবা সমূহ তুলে ধরেন। তিনি বর্তমান সরকারের গৃহীত এই সব সেবা তৃণমূল পর্যায়ের কৃষকরা যাতে সহজে পায় ও এ সম্পর্কে জানতে পারে সেজন্য সভায় উপস্থিত সকলের সহায়তা কামনা করেন। সভায় জেলা মৎস্য অফিসার সৈয়দ মো. আলমগীর স্থানীয়ভাবে মাছের পোনা উৎপাদনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। মৎস্য চাষীরা যাতে সহজ শর্তে মাছ চাষের জন্য ঋণ পেতে পারে সেজন্য উপজেলা কৃষি ঋণ বাস্তবায়ন কমিটির সক্রিয় হস্তক্ষেপ কামনা করেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক রমনী কান্তি চাকমা বলেন, বর্তমান মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় রাঙ্গামাটি জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কৃষক পর্যায়ে ১০০ জন কৃষককে উন্নতমানের ভূট্টার বীজ ও সার প্রদান করা হয়। তাছাড়া বিভিন্ন উচ্চফলনশীল জাতের ফসলের প্রদর্শনী স্থাপন করা হয়। তিনি পার্বত্য এলাকার কৃষি তথা কৃষকের অবস্থার টেকসই উন্নয়ন কল্পে বিভিন্ন দপ্তরের কার্যক্রমের সমন্বয় সাধনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তাছাড়া সভায় পাহাড়ী কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট, তুলা উন্নয়ন বোর্ড, বন বিভাগ, কৃষি তথ্য সার্ভিস এর প্রতিনিধিবৃন্দ, রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার সাপছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সভায় কৃষি উন্নয়নে করণীয় বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করেন।